মাদক ও অস্ত্র মামলায় ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ
রাজধানীর চকবাজার থানার অস্ত্র মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (০৪ জানুয়ারি) দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে পাঠিয়েছি। তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এখনও প্রতিবেদন জমা পড়েনি।
গত ২৭ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দু’টি করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব। এসব মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
মামলার বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিয়োগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান সেখান থেকে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস জব্দ করা হয়। এর মধ্যে দুটি অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, একটি এয়ারগান ও বেশ কিছু বিদেশি মদ ও ইয়াবা রয়েছে। এছাড়াও ৩৮টি ওয়াকিটকি সেট ও তিনটি ভিএইচএফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন জব্দ করা হয়।
অভিযানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে মাদক সেবন ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮ মাসের সাজা দিয়েছেন। এছাড়াও ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকে বেআইনি ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আশিক বিল্লাহ আর বলেন, ইরফানের বাসা থেকে জব্দ হওয়া দুটি বিদেশি পিস্তল ও মাদকদ্রব্যের বিষয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় র্যাব বাদী হয়ে সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা।
অর্থসূচক/কেএসআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.