করোনা ভ্যাকসিন রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

ভারতে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোকে ভ্যাকসিন পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করা লাগতে পারে।

এর আগে ১ জানুয়ারি দেশটিতে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল ভারত।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়াল্লা বলেন, রোববার ভারতীয় নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু শর্ত হলো, ঝুঁকিতে থাকা ভারতীয় জনগণের জন্য ডোজ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য রফতানি করতে পারবে না সিরাম ইন্সটিটিউট।

তিনি আরও জানান, সিরাম এই মুহূর্তে বেসরকারি বাজারেও এই ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে না। তারা এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ভারতীয় সরকারের কাছে ভ্যাকসিন হস্তান্তর করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড উৎপাদিত ‘কোভিডশিল্ড’ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ পেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই উদ্যোগের আওতায় প্রথম ধাপের ৬ মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল সিরামের। তবে ভারতের হঠাৎ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন পেতে আরও অপেক্ষা করা লাগতে পারে।

এছাড়া ভারতের এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ লোক করোনায় মারা গেছেন। করোনা ভ্যাকসিন বণ্টন পরিকল্পনার শুরুতেই ভারত ৩০ কোটি জনগণকে টিকা দিতে চায়। যার মধ্যে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশসহ সামনের সারির যোদ্ধারা।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.