ডিসির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তার অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করে ডিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং মেয়র প্রার্থী বিক্ষোভকারীদের মাঝে শুয়ে পড়লে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ৩টা পর্যন্ত সমাবেশের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ডিসি ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বসুরহাট পৌর নির্বাচনের নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভা চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা তার বক্তব্যে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে সাবাব চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, ফেনীর সাংসদ নিজাম হাজারী ও সন্দ্বীপের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ও মন্তব্য করেন। এ ছাড়া দলীয় বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ডিসি মো. খোরশেদ আলম খান তাকে নির্বাচন ও আচরণবিধি বিষয়ক কোনো আলোচনা থাকলে তা বলতে অনুরোধ জানান।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা সভাস্থল ত্যাগ করেন। পরে মেয়রের অনুসারীরা ডিসির বিরুদ্ধে নানা আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা বসুরহাট জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্বরে জড়ো হন। এ সময় আবদুল কাদের মির্জা ঘটনাস্থলে গিয়ে শুয়ে পড়লে তার অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করতে থাকেন।
সমাবেশে মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াৎ খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা রুমেলসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে তারা ডিসি মো. খোরশেদ আলম খান ও পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ডিসি মো. খোরশেদ আলম খান জানান, মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা নির্বাচন নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় একটানা দীর্ঘক্ষণ নানা বিষয়ে বক্তব্য দেন। একপর্যায়ে তাকে নির্বাচন ও আচরণবিধি নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ জানালে তিনি উত্তেজিত হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর তার উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা প্রথমে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং পরে প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
অর্থসূচক/কেএসআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.