আম্পায়ার্স কল নিষিদ্ধ করার দাবি

বেশ কিছুদিন ধরেই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) আম্পায়ার্স কল নিয়ে বিতর্কের তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক এ নিয়ে সমালোচনাও করেছেন। তবে এবার ডিআরএসের সময় আম্পায়ার্স কল নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন আইসিসির সাবেক আম্পায়ার ড্যারেল হার্পার।

২০১৬ সালে ‘আম্পায়ার্স কল’ নিয়ে এসেছিল আইসিসি। কোনও দল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নিলে মাঠের আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ারকে। খুব সূক্ষ্ম কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই গ্রহণযোগ্যতা দেন তৃতীয় আম্পায়ার। এতেই আপত্তি হার্পারের। এ প্রসঙ্গে হার্পার বলেন, ‘‌আম্পায়ারস কল নিয়ে অনেক হয়েছে। এবার এটা বাতিল করা উচিত। কোনও বিতর্কের মানেই হয় না। বল উইকেটে লাগলে বেল পড়বেই। ৪৮-৪৯ শতাংশে কিছুই এসে যায় না।’‌

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজে বেশ কিছু সিদ্ধান্তে খুশি হতে না পেরে ডিআরএসে ‘আম্পায়ারস কল’এর সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার দাবি তুলেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার। ডিআরএস নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে জানিয়ে ড্যারেল হার্পার বলেন, ‘১২ বছর ধরে দর্শকরা রহস্যের মাঝে আছে, ক্রিকেটাররাও রহস্যের মাঝে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়। আইসিসির এবার এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।’‌

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইনের রান আউট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি ক্রিজে ঢুকতে পেরেছিলেন কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। হার্পারের মতে, ১০ জন ভারতীয় এবং ১০ অস্ট্রেলিয়ানকে একটি রুমে আনা হলে অস্ট্রেলিয়ার ১০ জন বলবে এটা নটআউট আর ভারতের দশজন বলবে আউট। কিন্তু এর মাঝের দৃশ্য দেখলে বোঝা যাবে ওটা আউট ছিল। টেকনোলজির সাহায্য নিয়েও এই মত পার্থক্য মানতে পারছেন না সাবেক এই আম্পায়ার।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.