শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পেছাল

টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গুমের ঘটনায় করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের আদেশ পিছিয়ে ২৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। আজ তিন আসামির পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তাদের আইনজীবীরা শুনানি করেন। এদিন মামলায় গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গত ১৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে শুনানি করেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আমির হোসেন। এ ছাড়া পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয়জনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও সুজাদ মিয়া।

গত ৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গুম-নির্যাতনের বীভৎস চিত্র তুলে ধরেন। তবে সেনা কর্মকর্তাদের আইনজীবীরা তাদের নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতি চেয়েও শুনানি করেন। শুনানিতে প্রত্যেক আইনজীবী নিজের মক্কেলের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরে অব্যাহতির আবেদন জানান। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

এ মামলায় পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন আসামি। হাসিনা ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সাতজন পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তার থাকা ১০ জন হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম ও কে এম আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.