টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ অনুমোদনের দাবি ৯৪ নাগরিকের

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতার জন্য বিচারিক তদারকি নিশ্চিত করা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বের বাইরে রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন ৯৪ জন নাগরিক।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের অংশ হিসেবে আইন ও নীতিমালা সংস্কারের কাজ চললেও অংশীজনদের মতামত উপেক্ষা করা হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেট বন্ধের ক্ষমতা স্থায়ীভাবে বিলোপ ও নজরদারি কাঠামোয় সংস্কারের প্রস্তাবসহ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করলেও তা বাস্তবায়নে পিছিয়ে আসা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন, অবৈধ নজরদারি ও গুমের অভিযোগে সমালোচিত এনটিএমসির ভূমিকা আদালত ও গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সে কারণে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার প্রস্তাব থাকলেও সংশোধিত অধ্যাদেশটি ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হলেও অনুমোদন পায়নি।

নাগরিকদের অভিযোগ, এনটিএমসি বিলুপ্তির পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে নজরদারি ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। এতে নাগরিক অংশগ্রহণ ছাড়াই নতুন খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী এবং অতীতের নজরদারি কাঠামো পুনরুজ্জীবনের আশঙ্কা তৈরি করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত নতুন খসড়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দুর্বল করা হয়েছে। পূর্ববর্তী খসড়ায় নজরদারি সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও আধা-বিচারিক কাউন্সিলের যে বিধান ছিল, তা বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে আড়িপাতা ও নজরদারির ক্ষমতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক হয়ে পড়বে, যা নাগরিক অধিকারের জন্য হুমকি।

৯৪ নাগরিক বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ কোনো অবস্থাতেই অতীতের দমনমূলক শাসনে ফিরবে না। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ বা সীমিত করা যাবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত এনটিএমসি ভেঙে দিতে হবে এবং নজরদারির ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিকদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়াটি অনুমোদনের আহ্বান জানান তারা।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.