আজ বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পের পথিকৃৎ ও ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ এস এম নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। স্মৃতিসৌধ হিসেবে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স, করপোরেট অফিস, সার্ভিস সেন্টার, প্লাজা ও দেশের সব শোরুমে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মহৎপ্রাণ ব্যক্তি এস এম নজরুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর ৯৩ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। পরদিন তিনি নিজ গ্রাম গোসাই জোয়াইরে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন।
১৯২৪ সালের ৭ মে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা এস এম আতাহার আলী তালুকদার, মাতা মোসাম্মৎ শামছুন নাহার। স্বাধীনতার পর আলাদাভাবে ব্যবসা শুরু করে তিনি দেশব্যাপী সাশ্রয়ী মূল্যে ইলেকট্রনিক্স পণ্য পৌঁছে দিতে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রেজভী অ্যান্ড ব্রাদার্স, যা পরবর্তীতে ওয়ালটন গ্রুপে রূপান্তরিত হয়।
নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ওয়ালটন দেশীয় ইলেকট্রনিক্স খাতে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করে। ২০০৬ সালে গাজীপুরে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, কম্পিউটারসহ শতাধিক ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন শুরু হয়। ওয়ালটন পণ্য দেশের সীমানা পেরিয়ে ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
ওয়ালটনের উদ্যোগে প্রায় ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয়েছে। আলহাজ এস এম নজরুল ইসলাম শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেননি, বরং সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা সমবায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের পরিচালক ও জমি বন্ধকি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর জন্মভূমিতে তিনি কারিগরি বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সাহায্য-সহযোগিতা করে এসেছেন। অসুস্থ ও দরিদ্র মানুষের জন্য হৃদয় খুলে বয়স্কভাতা প্রকল্প চালু করেছিলেন।
এস এম নজরুল ইসলামের দূরদর্শিতা, সততা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা আজও দেশের শিল্পায়ন, প্রযুক্তি ও সমাজসেবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.