বিকাশ অ্যাপ থেকে ১ কোটি ২৭ লাখ বারেরও বেশি সিটি ব্যাংকের জামানতবিহীন ডিজিটাল লোন নিয়েছেন গ্রাহকরা। চালু হওয়ার মাত্র তিন বছরেই ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ডিজিটাল লোন বিতরণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হলো এই মাইলফলক। এখন পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা থেকেই ১৯ লাখেরও বেশি গ্রাহক এই লোন সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যাদের ২৫ শতাংশই নারী। লোন সুবিধা গ্রহণকারীদের অধিকাংশই একাধিক বার নিয়েছেন এই সেবা।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের বাইরে থাকা বা সীমিত ব্যাংকিং পাওয়া গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নিয়ে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করছে এবং আর্থিক সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ বিস্তৃত করছে। গ্রাহকরা কোন ধরনের কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই যেকোনো সময় মাত্র কয়েক ট্যাপে তাৎক্ষণিক ৫০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন লোন নিতে পারছেন। গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত হয় কোন গ্রাহক কত টাকার লোন পাবেন। গ্রাহকরা এই লোন চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসার মূলধন বৃদ্ধি, নতুন উদ্যোগ, ভ্রমণসহ নানা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করছেন।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোন নেয়ার সময় কোনো নথিপত্র প্রয়োজন হয় না। লোন নেয়ার পর নির্ধারিত তারিখে ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা জমা হয়। লোনের ইন্টারেস্ট, প্রসেসিং ফি ও অন্যান্য তথ্য লোন নেওয়ার সময় অ্যাপ থেকে দেখা যায়। নির্ধারিত সময়ের আগে লোন পরিশোধ করলে কেবল সেই সময়ের জন্য ইন্টারেস্ট দিতে হয়। কিস্তি পরিশোধের তারিখ অ্যাপ নোটিফিকেশন ও এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের মনে করিয়ে দেয়া হয়।
পাশাপাশি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটায় আরও সহজতা আনতে বিকাশ ও সিটি ব্যাংক ‘পে-লেটার’ সেবা চালু করেছে। পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও গ্রাহকরা ‘পে-লেটার’ ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের লোনের সীমা দিয়ে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করতে পারছেন। পে-লেটার লোন ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করলে কোনো ইন্টারেস্ট দিতে হয় না, আবার সহজ মাসিক কিস্তিতেও পরিশোধ করা যায়।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.