স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তপন চৌধুরী বলেছেন, বড় বড় ঋণখেলাপিরা দেশে-বিদেশে বহাল তবিয়তে আছেন এবং তারা উঁচু স্বরে বড় বড় কথা বলছেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঋণখেলাপির বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংলাপে এ মন্তব্য করেন তপন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাতের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী নেতা ও উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
তপন চৌধুরী বলেন, “ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। সাধারণ জনগণের টাকা নিয়ে যাঁরা বড় খেলাপি হয়েছেন, তাঁরা বহাল তবিয়তে আছেন। এই টাকা না দিলে কিছু হয় না, সেটাও তারা প্রমাণ করে দিচ্ছেন। ব্যাংকের ওপর মানুষের আস্থা কমেছে, অনেকেই এখনও পর্যন্ত তাদের জমা করা টাকা ফেরত পাননি। দুর্বল ইসলামিক ব্যাংকগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু কাজ করছে, তবে অন্যান্য দুর্বল ব্যাংক নিয়ে উদ্যোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক সরকারের অনেক সময় বিভিন্ন বিষয় থাকে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষেত্রে এটি নেই। আমাদের প্রত্যাশা ছিল কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অন্তত কিছু উদাহরণ রেখে যাওয়া উচিত।”
উত্তরে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের সময় ব্যবসায়ীদের ওপর ক্র্যাকডাউন অর্থনীতি স্থবির করে দিয়েছে। আমরা অর্থনীতিকে সচল রাখার সঙ্গে আইনগতভাবে আগাচ্ছি। ডান্ডা নিয়ে করার কিছু নেই। যারা অর্থ পাচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করছি।”
তিনি আরও বলেন, “বেক্সিমকো টেক্সটাইল ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠান সচল আছে। এস আলম দেশে না থাকলেও এএসএস পাওয়ার চলমান। সামিটের মালিক দেশেই নেই, তবে প্রতিষ্ঠান চলছে। আমরা চাই কারখানা ও উৎপাদন বন্ধ না হোক। প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পদ, কর্মসংস্থান সাধারণ মানুষের জীবিকার উৎস। ব্যক্তিকে ছাড়ব না, কিন্তু প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করতে দেব না। ভারসাম্য রেখে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।”
অর্থসূচক/
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.