জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকবে ইইউ’র বড় প্রতিনিধি দল

ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যথাসময়ে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে। ফলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বৃহৎ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মাইকেল মিলার বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বৃহৎ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জটিলতা সামলাতে কমিশন যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা আমাদের ‘খুবই মুগ্ধ’ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সময়সম্মত, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনকে আমরা গুরুত্ব দিই। এ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ এনে দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে একটি মক ভোটিং পরিদর্শন করেন তারা। সেখানে নির্বাচন কমিশনের আগাম প্রস্তুতি, বিশেষ করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জটিলতা সামলাতে কমিশন যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা তাদেরকে ‘খুবই মুগ্ধ’ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বকে ইইউ স্বীকৃতি দেয়। ২০২৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলনের একটি হবে বাংলাদেশ নির্বাচন। তা পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বৃহৎ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি এগিয়ে রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বৃহৎ জনসংখ্যা ও প্রথমবার ভোটে অংশগ্রহণকারী বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটারের কারণে ভোটার শিক্ষায় ব্যাপক কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন,‘অনেকেই অতীতের অভিজ্ঞতা, ভয়, সহিংসতা বা অবিশ্বাস, কারণে পূর্ববর্তী নির্বাচনে ভোট দেননি। এবার তাদের ভোট দিতে উৎসাহিত ও প্রস্তুত করা বড় চ্যালেঞ্জ।’

নিরাপত্তা ঝুঁকি ও লজিস্টিক জটিলতা মোকাবিলায় ইসি যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে, তা ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন’ বলে মন্তব্য করেন ইইউ প্রতিনিধি। ভোটের সময়সীমা বাড়ানোর উদ্যোগকে তিনি ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেন।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী।’

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এ নির্বাচনকে সহায়ক কিনা-এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেশের সব পক্ষেরই এখন মনোযোগ দেওয়া উচিত বহু বছরের মধ্যে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সুযোগটিকে বাস্তবে রূপ দিতে। বাংলাদেশ এখন নিজের ভাবমূর্তি পুনঃস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে।’

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.