বিরল খনিজের উত্তোলনকে উৎসাহিত করতে প্রায় ৭৩ বিলিয়ন রুপির প্রণোদনা প্যাকেজে হাতে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার (২৬ নভেম্বর)৭ হাজার ২৮০ কোটি রুপির প্যাকেজটি দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সাত বছর মেয়াদে প্রস্তাবিত এ প্যাকেজ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো বিরল খনিজে দেশটির আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং অগ্রসর প্রযুক্তি খাতের সরবরাহ চেইনকে শক্তিশালী করা।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হলে দেশটির চৌম্বক বিরল খনিজে উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে প্রায় ৬ হাজার টন। ইলেকট্রিক গাড়ি, ইলেকট্রনিকস পণ্য, উইন্ড টারবাইন, প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্ম ও অন্যান্য উচ্চ-প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন কার্যক্রমে এ ধরনের খনিজ পণ্যের ব্যবহার অপরিহার্য।
ভারতের খনিজ মন্ত্রণালয় বৈশ্বিক ও স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে আকর্ষণ, স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন বাড়ানো এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত উপাদানের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এ পরিকল্পনার কাঠামো তৈরি করেছে। বর্তমানে ভারত চৌম্বক জাতীয় বিরল খনিজ আমদানিতে চীনের ওপর ব্যাপক মাত্রায় নির্ভরশীল। প্রস্তাবিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন হলে তা ভারতে স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াকরণ, পরিশোধন এবং চুম্বক-উৎপাদন সক্ষমতায় বিনিয়োগকে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রণোদনার জন্য নির্বাচিত বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে সাত বছর মেয়াদে প্রণোদনা দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম দুই বছর দেয়া হবে ইন্টিগ্রেটেড রেয়ার-আর্থ পারমানেন্ট ম্যাগনেট ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তুলতে। এ দুই বছরকে ধরে নেয়া হবে কারখানা স্থাপনের প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে। আর পরের পাঁচ বছর প্রণোদনা দেয়া হবে সেখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি বা বিতরণের ভিত্তিতে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.