জুলাই সনদ ও গণভোট নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত দিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে সমাধান আসতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
দীর্ঘ আলোচনাও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মেলেনি সমাধান। নোট অব ডিসেন্ট বাদ দেয়াসহ বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ বিএনপির। আগে গণভোট ও পিআরের সুরাহা না পেয়ে রাজপথে জামায়াতসহ সমমনারা।
সনদের আইনি ভিত্তি ও প্রধান উপদেষ্টার সইয়ের নিশ্চয়তা ছাড়া সনদে সই করতে নারাজ এনসিপি। এদিকে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার অভিযোগে সই করেনি বাম জোট।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রেক্ষাপট ও সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি সনদে। সেখানে অঙ্গীকারনামার মাঝে রাষ্ট্রীয় ৪ মূলনীতি বাদ দিতে চাইল। এর মানে তো মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিতে চাওয়া।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে এটা জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতির এটা জারি করার রাজনৈতিক, আইনি ও নৈতিক কোনো ভিত্তি নেই। এবং গণভোটকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। সরকার এ দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্তে এলে আমরা স্বাক্ষর করব।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, মৌলিক বিষয়ে দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। সব দলকে আস্থায় রেখে সনদ বাস্তবায়নের আশায় অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘৪৮টি পয়েন্টের মধ্যেও ১৫টি ইস্যু এসেছে, সেখানে মৌলিক কিছু বিষয় আছে। সেগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট আছে। এগুলো রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে উপদেষ্টা পরিষদে বৈঠক হতে পারে। সরকার কনফিডেন্ট, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় রেখে একটি চূড়ান্ত পরিণতির দিকে পৌঁছাতে পারব।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে দ্রুত জুলাই সনদ নিয়ে দলগুলোর সমঝোতা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.