২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিচারের রায় ঘোষণার দিন ধার্য হবে আজ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আলোচিত এ মামলার দিনক্ষণ ঠিক করবেন।
তবে প্রসিকিউশনের অভিযোগ, বিচার বানচালে দেশে-বিদেশে অপচেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে বিদেশে বসে উত্তেজনা ছড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে গতকাল রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের অপকর্ম ও নাশকতামূলক তৎপরতা পর্যবেক্ষণে রেখেছে। ইতোমধ্যে রায় প্রদানকে ঘিরে সুপ্রিমকোর্ট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকা, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও বার ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এদিকে মামলার শুনানিতে উঠে এসেছে জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে গৃহযুদ্ধ লাগানোর চেষ্টাও করেছিলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা প্রসিকিউশনের মামলার বিচার শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
জুলাই আন্দোলনে শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তি ও চিকিৎসকসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্যে জুলাইয়ের গণহত্যা, নৃশংসতা, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার গুম-খুনসহ নানা ভয়ংকর নির্যাতনের চিত্র উঠে আসে।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, ট্রায়ালে যেসব সাক্ষ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে তা পৃথিবীর যেকোনো আদালতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট। প্রসিকিউশন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.