নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাট দলীয় সমাজতান্ত্রিক নেতা জোহরান মামদানি শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। জীবনযাত্রার ব্যয় সঙ্কট মোকাবিলার লক্ষ্যে মুদি দোকান, বিনামূল্যে গণপরিবহন ও সর্বজনীন শিশু পরিচর্যা নীতির পক্ষে প্রচারণা চালানো মামদানির প্রগতিশীল অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ধনকুবেরদের মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ২৬ জন ধনকুবের ও ধনী পরিবার মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পক্ষে মোট ২ কোটি ২০ লাখ ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছেন। উল্লেখযোগ্য অনুদানদাতাদের মধ্যে ছিলেন মাইকেল ব্লুমবার্গ, বিল অ্যাকম্যান, জো গেবিয়া, উইলিয়াম লডার ও পরিবার, এছাড়া রিড হেস্টিংস, স্টিভ উইন, জন হেসসহ আরও অনেকে।
অনুদান তালিকা অনুযায়ী: মাইকেল ব্লুমবার্গ: ৮.৩ মিলিয়ন ডলার; জো গেবিয়া: ৩ মিলিয়ন ডলার; উইলিয়াম লডার ও পরিবার: ২.৬ মিলিয়ন ডলার; বিল অ্যাকম্যান: ১.৭৫ মিলিয়ন ডলার; জোনাথন টিশ ও পরিবার: ১.২ মিলিয়ন ডলার; জন হেস: ১ মিলিয়ন ডলার; ড্যানিয়েল লোব: ৭.৭৫ লাখ ডলার; ব্যারি ডিলার: ৫ লাখ ডলার; স্টিভ উইন: ৫ লাখ ডলার; মার্সেলা গুয়ারিনো হাইমোভিটজ: ৪ লাখ ডলার; ডেভিড ওয়ালেন্টাস: ৩.৫ লাখ ডলার; রিড হেস্টিংস: ২.৫ লাখ ডলার; জন ফিশ: ২.৫ লাখ ডলার; ডেভিড লিশটেনস্টাইন: ২.৫ লাখ ডলার; অ্যালিস ওয়ালটন: ২ লাখ ডলার; ডেবোরা সাইমন: ২ লাখ ডলার; জেরি স্পিয়ার: ১.৫ লাখ ডলার; স্টেফানি কোলম্যান: ১.৫ লাখ ডলার; ডার্স্ট পরিবার: ১.১ লাখ ডলার; ফিশার পরিবার: ১.১ লাখ ডলার; ড্যানিয়েল ওচ: ১ লাখ ডলার; কেন ল্যাংগোন: ১ লাখ ডলার; জেমস ও ক্যাথরিন মারডক: ১ লাখ ডলার; ব্রুস ও সুজি কোভনার: ১ লাখ ডলার; রিচার্ড কার্টজ: ১ লাখ ডলার; এলঘানায়ান পরিবার: ১ লাখ ডলার।
মামদানির জয়ের পর ওয়াল স্ট্রিটের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, যারা প্রথমে বিরোধী ছিলেন, তারা সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিল অ্যাকম্যান বলেন, “এখন আপনার একটি বড় দায়িত্ব আছে। আমি যদি নিউইয়র্ক সিটিকে সহায়তা করতে পারি, আমাকে জানাবেন কী করতে পারি।”
জেপি মর্গান চেজের সিইও জেমি ডাইমন বলেছেন, মামদানি সমাজতান্ত্রিকের চেয়েও বেশি মার্কসবাদী, কিন্তু জয়ের পর তিনি বলেছেন, যে কোনো মেয়র বা গভর্নরকে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
জোহরান মামদানি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.