পাকিস্তানে অক্টোবর মাসে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে— যা গত ১২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হার।
সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রকাশিত সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, মাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। সাম্প্রতিক বন্যা ও সীমান্ত অস্থিরতায় সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সরকারি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বন্যা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের কারণে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে, তবে মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে স্থিত থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বেড়েছে।
এদিকে, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান টানা চতুর্থবারের মতো নীতি সুদহার ১১ শতাংশে স্থির রেখেছে। ব্যাংকের আশা, আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমবে, যদিও তা ৫–৭ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থাকবে।
গত বছর পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৩০ শতাংশে পৌঁছেছিল। চলতি বছরের মাঝামাঝি তা কমলেও সাম্প্রতিক সরবরাহ সংকটের কারণে আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় পাঞ্জাবের কৃষিজমি ও শিল্পকারখানার ক্ষতি, ১ হাজারেও বেশি মৃত্যু এবং প্রায় ২৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ফসল ও শিল্প উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্য সরবরাহে চরম সংকট দেখা দেয়।
এরপর শুরু হয় আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাত, যা খাদ্য ও জ্বালানির রুট বন্ধ করে দেয়। যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি নবায়ন সত্ত্বেও ১১ অক্টোবর বন্ধ হওয়া সীমান্ত বাণিজ্য এখনও চালু হয়নি, ফলে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খাদ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে।
যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, ভালো ফলন, শিল্পখাতের অগ্রগতি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে উন্নতি দেখা যাচ্ছে, তবে বৈশ্বিক দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে।
অন্যদিকে, বেসরকারি এক জরিপে দেখা গেছে, অক্টোবরে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো শিল্পোৎপাদন কমেছে, যা সরকারি আশাবাদের বিপরীত চিত্র তুলে ধরেছে।
অর্থসূচক/
			
						

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.