ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ থেকে ট্রেনে পাথর ছুড়ে হামলা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা। এই ঘটনায় প্রায় দুই ঘণ্টা ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে রেলওয়ে পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিকে জনতার ছোড়া পাথরে আশুগঞ্জ থেকে আসা অন্তত পক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির কারণে পাঁচটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।
এদিকে ট্রেন থামিয়ে ব্লকেড সৃষ্টি করে ট্রেনের মধ্যে রেললাইনে থাকা পাথর ও ইট নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের ওসি সাঈদ আহমেদ জানান, ভৈরবকে দেশের ৬৫ তম জেলা করার দাবিতে ১০টা ২৫ মিনিট থেকে রেল অবরোধ করে রেখেছিল স্থানীয়রা। পরে পৌনে বারোটার দিকে আন্দোলনকারীদের সাথে কয়েকদফায় আলোচনার পর অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা। বেলা পৌনে ১২টায় সেখানে আটকে থাকা উপকূল ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনে এলোপাথাড়ি ইট-পাথর মারতে শুরু করে। পরে ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পর উপকূল এক্সপ্রেস নামের ওই ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

ব্লকেড কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ১৫ দিন লাগাতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেয়ার পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের টনক নড়েনি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষে ২৬ অক্টোবর সড়কপথ ব্লকেড, ২৭ অক্টোবর রেলপথ ব্লকেড ও ২৮ অক্টোবর নৌপথ ব্লকেড কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৬ অক্টোবর ২ ঘণ্টা সড়ক পথ অবরোধ করা হলেও ইন্টেরিম সরকার আমাদের দাবি আমলে নিচ্ছে না। আজ ১ ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। আগামীকাল নৌপথ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবে সর্বস্তরের জনতা। সরকার জেলার দাবি মেনে না নিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ বন্ধ করে জেলার দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.