এইচ-ওয়ান বি ভিসার ফি বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এইচ-ওয়ান বি ভিসার ফি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভারতীয় নাগরিকরা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান হয়েছে।

এইচ-ওয়ান বি হলো একটি বিশেষ ভিসা কর্মসূচি, যার মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলো অস্থায়ীভাবে দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে থাকে। ২০০৪ সাল থেকে চালু হওয়া এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর ৮৫ হাজার বিদেশি কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অনুমতি পান।

বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশলবিদ্যা ও ব্যবসায় প্রশাসনের মতো খাতে দক্ষ কর্মীদের এই ভিসার আওতায় নিয়োগ দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যমতে, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল ও গুগলের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এই কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী।

এতদিন এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোকে ভিসা ফি হিসেবে বছরে ১ হাজার ৫০০ ডলার দিতে হতো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ফি বেড়ে ১ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে।

মার্কিন পরিসংখ্যান দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ সালের তুলনায় ২০১৯ সাল নাগাদ এইচ-ওয়ান বি ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকর্মীদের সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ, যার সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) কর্মীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ ভারতীয়, ১১ দশমিক ৭ শতাংশ চীনা এবং বাকি ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। এই কর্মীদের বড় একটি অংশ অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা ও গুগলের মতো কোম্পানিতে কাজ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভারতীয় দক্ষ কর্মীদের আগমন অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি।

ভিসা ফি বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা জানি এই ভিসা ফি বৃদ্ধি বড় বড় কোম্পানির জন্য একটি বড় ধাক্কা। এ পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের যুক্তি পরিষ্কার—আপনারা যদি দক্ষ কর্মী চান, তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করুন অথবা মার্কিনিদের প্রশিক্ষিত করুন। আমাদের চাকরি বাইরের লোকদের দিয়ে করাবেন না।”

ভিসা ফি বৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, গুগলসহ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে গণমাধ্যম। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.