বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কৃষি, জ্বালানি ও বিমান কেনায় অগ্রগতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমলে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আরোপ করা পাল্টা শুল্ক আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যেসব পণ্য কেনা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি ও জ্বালানি পণ্যের পাশাপাশি বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ঘাটতি নিম্নমুখী করা। এই লক্ষ্য অর্জিত হলে শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করা যায়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত পাল্টা শুল্ক আরোপ-সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত ৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্কের হার কমিয়ে ২০ শতাংশ কার্যকর করেছে। তবে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। পাল্টা শুল্ক অন্তত ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে চায় ঢাকা। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইউএসটিআরের কাছে সময় চেয়েছিল। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করছে। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত।

কর্মকর্তারা জানান, আলোচনার ভিত্তিতে বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে দরকষাকষিতে দুই পক্ষ একমত হলে খসড়ায় সংশোধন এনে তা চূড়ান্ত করা হবে।

বাংলাদেশের পণ্যের ওপর প্রথমে ৩৭ শতাংশ ও পরে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করে আলোচনার সুযোগ রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে গত ৩১ জুলাই তা ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.