চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। তাঁদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ২১ শিক্ষার্থীকে পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রবিবার সকাল থেকেই পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আহতদের দিক বিবেচনা করে আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলায় বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাই আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী ২ নম্বর গেটের মাছবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে বাসায় ঢোকার সময় দারোয়ানের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে পৌঁছালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে হামলা চালায় শিক্ষার্থীদের ওপর। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে নামেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও প্রথমদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হলে রাত ৩টা ২০ মিনিটে তারা এসে নিয়ন্ত্রণ নেয়।
চবি মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, “বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.