স্কুলের মাঠেই আছে ভবিষ্যতের তামিম-সাকিবরা: বিসিবি সভাপতি

চট্টগ্রামে আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হলো আজ সকালে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেশজুড়ে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন।

যার অংশ হিসেবেই রাজশাহী ও চট্টগ্রামে আংশিকভাবে আঞ্চলিক ক্রিকেটের যাত্রা শুরু। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে কোচেস ট্রেনিং, জুনিয়র পর্যায়ের কার্যক্রমের পাশাপাশি চট্টগ্রামে শুরু হলো সিনিয়রদের নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি আসর। যার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকালই চট্টগ্রামে যান বিসিবি সভাপতি।

টুর্নামেন্টে শুরুর পর সংবাদমাধ্যমকে বুলবুল বলেছেন, ‘ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ মানে শুধু প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট নয়, প্রতিটি জেলায় যেন তাদের নিজস্ব ক্রিকেট সত্তা প্রস্ফুটিত হয়, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আগামী দিনের তামিম, সাকিব, মুশফিক বা রিয়াদরা এখনও স্কুলে পড়ছে। তাদের তুলে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই ধারণাটাকে মাঠে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে আকরাম খান ও তার টিম। প্রত্যেক জেলা যেন নিজেদের শক্তিশালী ক্রিকেট কাঠামো গড়ে তোলে। তাতে সেখানে শুধু দল নয়, পুরো এক ক্রিকেট পরিবার তৈরি হবে। ফিজিও, ট্রেনারসহ সব ধরনের সাপোর্ট স্টাফ তৈরি হবে।’

তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেট নিয়ে বিসিবি সভাপতির আলাদা পরিকল্পনাও আছে, ‘স্কুল ক্রিকেট অনেক দিন ধরেই চলছে। তবে এবার আমরা ভিন্নভাবে স্কুল ক্রিকেট আয়োজন করবো। স্কুলগুলো শুধু খেলবে না, সেখান থেকেই আমরা নতুন ফ্যানবেস তৈরি করবো। সেই প্রক্রিয়া থেকে উঠে আসবে দেশের পরবর্তী সুপার ট্যালেন্রা।’

বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক টুর্নামেন্টকে সেই পথের একটি পদক্ষেপ বলা যায়। এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, বিকেন্দ্রীকরণ শুধু ক্রিকেটের প্রতিযোগিতামূলক নয়, প্রতিটি জেলার নিজস্ব যে ক্রিকেট সত্তা আছে, সেটা যেন তারা প্রস্ফুটিত করতে পারে, বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভালো ক্রিকেটাররা জেলাতে এসে যেন খেলতে পারে, সেই জেলা যেন শুধু একটা ভালো ক্রিকেট দল নয়, বরং একটি ক্রিকেট পরিবার গড়তে পারে, ফিজিও-ট্রেনার ও সব স্টাফদের তৈরি করতে পারে। চট্টগ্রাম এটা শুরু করলো, আশা করি অন্য অঞ্চলগুলোতেও এই ধরনের সুন্দর ব্যবস্থাপনা থাকবে।’

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.