মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করেছে ভারত— এমন দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, যা তারা ভারতের তিনজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে।
তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ খবরকে “ভুল ও মনগড়া” বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আসন্ন সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে কিছু অস্ত্র ক্রয় চুক্তি ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে স্ট্রাইকার কমব্যাট ভেহিকল (General Dynamics Land Systems) ও জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল (Raytheon ও Lockheed Martin) ক্রয়ের আলোচনা স্থগিত রয়েছে। এছাড়া ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ছয়টি বোয়িং P8I রিকনাইসেন্স বিমান ও সহায়ক সিস্টেম কেনার ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবিত চুক্তিও স্থগিত পর্যায়ে আছে।
গত বুধবার ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যা নিয়ে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ— যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ হার। ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়ার তেল আমদানির মাধ্যমে ভারত মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণকে অর্থায়ন করছে।
ভারত এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নিজের স্বার্থে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট হলে ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকনির্দেশনা বোঝা গেলে অস্ত্র কেনার প্রক্রিয়া আবারও এগিয়ে যেতে পারে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে, বিশেষ করে চীনের প্রভাব মোকাবেলায়। যদিও রাশিয়া ঐতিহাসিকভাবে ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইসরায়েলের মতো পশ্চিমা দেশের কাছ থেকেও অস্ত্র কিনছে।
বর্তমানে রাশিয়ার কাছ থেকে নতুন অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা নেই বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তবে দীর্ঘদিনের সামরিক সহযোগিতার কারণে রাশিয়ার সহায়তা ছাড়াও ভারত পুরোপুরি চলতে পারবে না।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.