শেখ হাসিনার বিষয়ে ইতিবাচক উত্তর দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার লক্ষ্যে তাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এ নিয়ে ভারতের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর আসেনি।

সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এ নিয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। বিচারের সম্মুখীন করতে বাংলাদেশ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে। ভারত থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর আসেনি। বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ আসুক আর না আসুক, তার জন্য তো বিচার আটকে থাকে না।

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সরকার প্রয়োজন মনে করলে সহযোগিতা নিতে পারে। তবে এই মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন দেখছি না।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন মালয়েশিয়া সফরে অনেক বাধা দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তবে, আমরা আশাবাদী যে অনেকগুলো বাধা দূর করতে পারবো। এখানে দুটি জিনিস। প্রথমত, সর্ব্বোচ্চ পর্যায়ে একটি সফর হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে একটি ভালো রসায়ন আছে। আমরা সেটিকে ব্যবহার করবো।

মালয়েশিয়া থেকে শুধু বাংলাদেশি ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, অন্য দেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এয়ারেপোর্টে যাদের সন্দেহজনক কাগজপত্র আছে বলে মনে করা হচ্ছে, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এটি নিয়ে খুব বেশি কিছু আপত্তি করার নেই। ভিসা এবং প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে দেশের সার্বভৌম অধিকার। তারা যদি মনে করে কাউকে নিয়ে সমস্যা আছে, সেক্ষেত্রে ভিসা বা প্রবেশ করতে নাও দিতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় যে মানুষগুলোকে গ্রেফতার করা হযেছে, তারা সবাই জঙ্গি নয়, এটি প্রমাণিত। যদি জঙ্গি হতো, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হতো এবং ছেড়ে দিতো না। অনেককে তারা ছেড়ে দিয়েছে। যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মূল কারণ হচ্ছে অনিয়মিত কাগজপত্র। ভিসা শেষ হয়ে গেছে বা এরকম কিছু। আমরা এটিতে আপত্তি করতে পারি না। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা আমলে নিয়েছে। আমরা তাদের কাছে সব ধরনের তথ্য চেয়েছি এবং এটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিই। আমরা সন্ত্রাসবাদকে টলারেট করি না। আমরা জানিয়েছি, তোমাদের সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করতে চাই এবং আমরা চাই তোমরাও আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করো। আমরা দুই দিকেই তদন্ত করবো।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.