শুল্ক নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে, আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই: বিজিএমইএ সভাপতি

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ হওয়ায় আপাতত একটি সমূহ বিপর্যয় এড়ানো গেছে। তবে এই শুল্কহার নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, এটি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।

শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, প্রতিযোগী দেশগুলো তাদের শুল্ক কমানোর চেষ্টা করবে। ফলে বাংলাদেশের আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ শুল্ককাঠামো ঘোষণা করেছে; যা প্রায় চার মাস ধরে আমাদের উদ্বেগের কারণ ছিল। প্রথমে ৩৭ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ এবং সর্বশেষে তা ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।’’

মাহমুদ হাসান খান বলেন, এই হার এখন প্রধান প্রতিযোগীদের তুলনায় সমান বা কিছু ক্ষেত্রে কম। চীন ও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের শুল্ক এখন অপেক্ষাকৃত সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রচেষ্টায় এ ফল এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, শুল্ক আলোচনায় বিজিএমইএ সক্রিয় ছিল এবং মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও গেছেন তারা, যাতে বিষয়টির গুরুত্ব স্পষ্ট হয়।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, রপ্তানি পণ্যের উপকরণে যদি ২০ শতাংশ বা তার বেশি ইউএস কটন থাকে, তাহলে সেই অংশে শুল্ক শূন্য থাকবে। ফলে শুল্কহার কার্যত আরও কমে আসবে।

তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০০–৫০০ মিলিয়ন ডলারের সুতা আমদানি করে। এটি দুই বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। এতে ২০ শতাংশ শুল্কের চেয়েও কম হার কার্যকর হবে।

তবে বিজিএমইএ সভাপতি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বাড়তি শুল্কের কারণে কিছু ক্রেতার পক্ষে বাড়তি অর্থ যোগাড় করা কঠিন হতে পারে। এতে ক্রয়াদেশ কমতে পারে। আবার বাড়তি শুল্ক ভোক্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, ফলে বিক্রিও কমতে পারে।

তিনি বলেন, ৯৫ শতাংশ পোশাক রপ্তানি হয় এফওবি পদ্ধতিতে, যেখানে শুল্ক বহনের দায়িত্ব ক্রেতার। এখনো কোনো ক্রেতা এ দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায়নি, তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে তারাই বহন করবে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.