ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ত্রাণ সহায়তা আটকে দিয়ে ইসরায়েল ‘স্পষ্টভাবে’ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গাজার মানবিক সংকটের প্রেক্ষিতে তিনি একে “একেবারেই অমার্জনীয়” বলে অভিহিত করেছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, “আমাদের যুদ্ধের নিয়ম রয়েছে, আর তা নির্দোষ মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে তৈরি করা হয়েছে। ইসরায়েল খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন বলছে, কোনও সংঘাতের জন্য নির্দোষ মানুষকে দায়ী করা যায় না।”
ফ্রান্সের সাম্প্রতিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ এখনই এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে না। তবে টেকসই রাষ্ট্র গঠনের উপযুক্ত শর্ত পূরণ হলে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা কোনও প্রতীকী সিদ্ধান্ত নেব না। সঠিক মনে করলে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এখনই সময় নয়।”
গাজা ও পশ্চিম তীর পুনর্গঠন এবং বসতি স্থাপন সমস্যার সমাধান ছাড়া দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান কার্যকর হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যালবানিজ বলেন, “এক বছরের একটি শিশু হামাস যোদ্ধা নয়। গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও ভোগান্তি অগ্রহণযোগ্য ও অমার্জনীয়।”
বার্তাসংস্থা আনাদোলুর বরাতে গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি অভিযানে ৫৯ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। চলমান হামলায় গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধসে পড়েছে, দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট, এবং অঞ্চলজুড়ে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া, চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে সীমান্ত বন্ধ করে খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ আরও প্রকট হয়েছে বলে জানিয়েছে আনাদোলু।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.