কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিতে নির্ধারিত মাশুল আবারও আগের হারেই নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বেল কাঁচা পাট রপ্তানিতে ২ টাকা এবং পাটজাত পণ্যের প্রতি ১০০ টাকার রপ্তানিমূল্যে ১০ পয়সা হারে ফি দিতে হবে।
সম্প্রতি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৩০ বছর পর গত এপ্রিল মাসে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই হার বাড়িয়ে কাঁচা পাটে ৭ টাকা এবং পাটজাত পণ্যে ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছিল সরকার। তবে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরোনো হারেই মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকে এই খাতে নগদ সহায়তা কমানো হয়। বৈচিত্র্যময় পাট পণ্যে সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ৭ থেকে ৫ শতাংশ এবং পাট সুতায় ৫ থেকে ৩ শতাংশ করা হয়।
এদিকে রপ্তানির পরিসংখ্যান বলছে, পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয় ১১২ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৯১ কোটি ১৫ লাখ ডলারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা আরও নেমে আসে ৮৫ কোটি ৫২ লাখ ডলারে।
পাট অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৫ বেল কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে ১৩টি দেশে। এর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও চীন উল্লেখযোগ্য। এই রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বা ১৬ কোটি ৪ লাখ ৮৭ হাজার ডলার। এর মধ্যে শুধু ভারত থেকেই এসেছে ৯ কোটির বেশি ডলার।
অর্থসূচক/ এএকে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.