যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে ‘বৃহৎ’ একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন এই চুক্তির আওতায় পূর্বঘোষিত ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, চুক্তির ফলে জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, যার ৯০ শতাংশ লাভ যুক্তরাষ্ট্র পাবে।
বুধবার (২৩ জুলাই) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমরা জাপানের সঙ্গে একটি বিশাল চুক্তি সম্পন্ন করেছি। সম্ভবত এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুক্তি।”
চুক্তির আওতায় জাপান প্রথম দেশ হিসেবে সীমাবদ্ধতা ছাড়া গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক হ্রাস পেয়েছে। এ বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা টোকিওতে জানান, এটি বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকা দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ছাড়। এ ঘোষণার পর টয়োটা ও হোন্ডার মতো গাড়ি কোম্পানির শেয়ারে বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে। টয়োটার শেয়ার ১২ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।
এর আগে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রমুখী জাপানি গাড়ির রফতানি ২৬.৭ শতাংশ কমে যায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে জাপান প্রযুক্তিগত মন্দায় পড়তে পারে।
চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাল, গ্যাস ও তেল রফতানির সুযোগও তৈরি হয়েছে। যদিও চাল আমদানি জাপানে একটি রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বিষয়, তবু প্রধানমন্ত্রী ইশিবা দাবি করেন, “এই চুক্তি কৃষিখাতের জন্য আত্মসমর্পণ নয়।”
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রিটেনের সঙ্গেও চুক্তি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ফিলিপাইনের পণ্যে এখন ১৯ শতাংশ শুল্ক বসবে। ইন্দোনেশিয়া তাদের খনিজ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে সম্মত হয়েছে এবং তাদের ওপর ১৯ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে কিছু পণ্যে শুল্ক ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
চীনের সঙ্গে চলমান শুল্কযুদ্ধের মধ্যেই এই চুক্তিগুলো আসছে। যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে চীনের ওপর শুল্ক কমাতে রাজি হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে স্টকহোমে নতুন আলোচনা হবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.