এনবিআরে ৪ লাখ ৩০ হাজার ছাড়াল অনলাইনে ইস্যু সনদপত্র

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে সহজতর ও ডিজিটাল করার লক্ষ্যে চালু হওয়া ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ (BSW) সিস্টেমের আওতায় অনলাইনে ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

রোববার (২০ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সিস্টেমটির মাধ্যমে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯টি সনদপত্র, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যু করা হয়েছে।

এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ বলেন, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গো-লাইভ হওয়া সংস্থাগুলোর কার্যকর অংশগ্রহণে এই মাইলফলক সম্ভব হয়েছে। অভিনন্দন জানানো হয়েছে—বেপজা, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ), বিস্ফোরক অধিদপ্তর, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে।

তিনি আরও জানান, বাকি ১৯টি আমদানি ও রপ্তানি–সংশ্লিষ্ট সংস্থাও এখন বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো থেকে সরাসরি সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যু করতে পারছে। এ সংক্রান্ত যেকোনো সহায়তার জন্য সেবাগ্রহীতারা ১৬১৩৯ নম্বর হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন।

২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে এনবিআরের তত্ত্বাবধানে ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ নামে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি পূর্ণরূপে চালু হয়। মূলত আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত ১৯টি কাস্টমস সংস্থাকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

সোমবার এ উদ্যোগের আওতায় এনবিআর ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, এরই মধ্যে ৩৮টি দপ্তর, মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং বেশিরভাগই তাদের নিজ নিজ অটোমেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এনবিআর জানায়, এখন থেকে ব্যবসায়ীরা অফিসে না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব ধরনের সনদ, লাইসেন্স ও পারমিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে সময় ও খরচ বাঁচবে এবং কাগজপত্রের জটিলতা কমবে।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কাস্টমস প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এটি রাজস্ব ফাঁকি রোধেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.