ঢাকায় সমাবেশে যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে।
শনিবার ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশফাক হোসেন। নিহতরা হলেন- খুলনার দাকোপ উপজেলার আবু সাঈদ (৫৫) ও মোহাম্মদ আমানত শেখ (৫৫)। আবু সাঈদ দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমির।
এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির। অন্যদিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ আমানত শেখের মৃত্যু হয়। তিনি খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা এলাকার ইসমাইল শেখের ছেলে। এছাড়াও গুরুতর আহতদের মধ্যে, জামায়াত কর্মী আনিসুর রহমান ও ইকবাল হোসেনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোকিবুজ্জামান জানান, শনিবার ভোররাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের শুরুতে তাদের গাড়ি বহর পার্কিং করে চা খাচ্ছিলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ সময় আবু সাঈদ দেখতে পান তাদের গাড়ির ব্যানার উল্টে গেছে। ব্যানারটি ঠিক করছিলেন তিনিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাদের পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে পরপর তিনটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। দুই গাড়ির চাপায় পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন আবু সাঈদ। আহত হন ৬ জন।
স্থানীয় জনতা ও হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসগুলো উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভাঙ্গা থানার ওসি আশফাক হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে মিনি বাস ও লাশ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের অধীনে রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর যানটির ভেতরে থাকা ৮-৯ জন আহত হয়।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.