ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে বছর না পেরোতে ফের বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে ডুবছে একের পর এক জনপদ। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।
বৃহস্পতিবার বিকালে বন্যা সতর্কবার্তায় এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বলা হয়েছে, তিস্তার পানি বেড়ে গেলে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া, ফেনী জেলার সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই জেলার মুহুরী ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে এবং এই সময়ের মাঝে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতিও উন্নতি লাভ করতে পারে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, দুপুর ১টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার ২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি কমলেও ভাঙনের স্থান দিয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি কমার পরেই বাঁধ মেরামতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করছে। জেলার ছয় উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.