আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে মামলা করেছে বিএনপি।
রোববার (২২ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির আরও তিন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, তৎকালীন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, তৎকালীন ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার, সাবেক ডিজি র্যাব ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান (নাম অজ্ঞাত), সাবেক এনএসআই প্রধান ও সাবেক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব, আলমগীর হোসেন, আনিছুর রহমান ও তৎকালীন নির্বাচন সচিব (নাম অজ্ঞাত)।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, আগে নির্বাচন কমিশনে যেসব কর্মকর্তা ছিলেন, অভিযোগকারীর দৃষ্টিতে তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট সম্পন্ন করেন এবং জনগণের ভোট ছাড়াই প্রার্থীদের বিজয়ী করেন। এই কাজগুলো দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান বলেন, ২০১৪,২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোট পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য, বিভিন্ন সংস্থার এন এস আই, ডিজিএফআই, এসবি প্রধানসহ তারা সম্মিলিতভাবে প্রশাসনিক নির্বাচন করেছেন। দিনের ভোট রাতে করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন শেখ হাসিনা। তাই তিনিসহ ২৪ জনকে আসামি ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.