ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকটি দেশ তেহরানে তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এর মধ্যে আছে চেক প্রজাতন্ত্র, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু ইরানের আকাশসীমা বন্ধ এবং ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাত্রী পরিবহনের জন্য বন্ধ থাকায়, অনেক দেশই এই দুই দেশ থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে জটিল অভিযান পরিচালনা করছে।
ইরান থেকে প্রায় ১,৫০০ জন এবং ইসরায়েল থেকে প্রায় ১,২০০ জনকে সরিয়ে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কিছু অস্ট্রেলিয়ান ইতোমধ্যেই একটি জাহাজে করে সাইপ্রাসের উদ্দেশে ইসরায়েল ছেড়েছেন। অন্যদের স্থলপথে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটি ইরান থেকে ১,৬০০ জনের বেশি এবং ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকশ নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে।
বেইজিং তাদের নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে যেন তারা স্থলপথে আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, তুরস্ক, আর্মেনিয়া বা ইরাক হয়ে দেশ ত্যাগ করে।
ভারত প্রায় ১১০ জন ছাত্র যারা ইরান থেকে স্থলপথে আর্মেনিয়ায় গিয়েছিলেন, তারা দিল্লিতে ফিরে এসেছেন।
ভারত বলেছে, ইসরায়েলে অবস্থানরত যে কোনো ভারতীয় যদি দেশ ছাড়তে চান, তাহলে তাদেরও সরিয়ে নেওয়া হবে। ইসরায়েলে প্রায় ৩০ হাজার ভারতীয় রয়েছে।
জাপান তাদের নাগরিকদের ইরান ও ইসরায়েল থেকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি হিসেবে দুটি সামরিক বিমান জিবুতিতে পাঠাচ্ছে।
ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার জন এবং ইরানে প্রায় ২৮০ জন জাপানি নাগরিক রয়েছেন।
পাকিস্তান সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় তিন হাজার পাকিস্তানি ইরান ছেড়েছেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.