দেশের ১১ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়ের শঙ্কা

দুপুরের মধ্যে দেশের ১১ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার (০২ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, দুপুর ১টার মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ (সোমবার) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে কয়েক জেলায় প্লাবন পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে প্লাবন পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি শেরপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বৃষ্টির ফলে প্লাবিত হয়েছে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চলও। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার সাধারণ মানুষ।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নিম্নাঞ্চলে পানি কিছুটা বেড়েছে। ঝিনাইগাতি সদরের কালি নগর পাগলার মুখ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এদিকে, কাঁচা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পানি থাকায় ধান শুকাতে পারছেন না তারা। উজানের পানি বাড়লে বন্যার শঙ্কাও করছেন এলাকাবাসী।

বৃষ্টি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াতেও। এখনো তলিয়ে আছে দক্ষিণ ইউনিয়ন, মোগড়াসহ তিনটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। তলিয়ে আছে ফসলের ক্ষেত; ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বৃষ্টি আর ঢল অব্যাহত থাকলে হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙার শঙ্কায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।

টানা কয়েকদিনের বষর্ণে রাঙামাটির প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলও। বিশেষ করে বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি এবং বিলাইছড়ির নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়ছে। পাহাড় ধ্বসের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলা প্রশাসন ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। অনেকে রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে সকালে চলে গেছেন। রাঙামাটিতে ছোট খাট পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটলে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, নিম্নচাপের কারনে সৃষ্ট টানা ৫ দিনের বৃষ্টিপাতে বান্দরবানে জনজীবনে দুর্ভোগ চরমে। ভারী বৃষ্টিতে বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা আলিকদম সড়কে কিছু নিন্মাঞ্চল এলাকায় জলাবন্ধতার কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.