ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ করার দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন ও পরবর্তীতে সৃষ্ট জটিলতায় এটির শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. জুলফিকার রহমান তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপাচার্য, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান এবং ডিনসহ মোট ১১ জন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদত্যাগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক পরিচালনা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, পদত্যাগকারী উপাচার্য এবং বিভাগীয় প্রধানদের পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া না পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

এর আগে, উপাচার্যসহ ১১ জন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের কারণ নিয়ে রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ব্রিফিং করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

তারা জানান, উপাচার্য এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধান ছাড়া অন্য শিক্ষকদের পদত্যাগ তারা চান না। তাদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে তাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য উপাচার্য অন্যদের পদত্যাগে বাধ্য করেছেন। তারা বাকি শিক্ষকদের তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পেজে প্রকাশিত পদত্যাগপত্রের ছবি অনুযায়ী শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইউআইইউর উপাচার্য পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, কিছু শিক্ষার্থী কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অসৌজন্যমূলক ও অসম্মানজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

এরপর আরও দেখা গেছে, উপাচার্যের পদত্যাগের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক’ দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকরাও তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করেন।

বিশ্ববিদ্যায়লয় বন্ধের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া বা তারা কোনো কর্মসূচির কথা ভাবছে কি না, তা জানা যায়নি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.