লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রায়পুরের খাসেরহাট এলাকায় সংঘর্ষে নিহত স্বেছাসেবক দলের নেতা জসিম উদ্দিন ব্যাপারী হত্যা মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ভোর রাতে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবুল খায়ের গাজী, খালিদ গাজী, জাকির হোসেন, আবদুল মান্নান গাজী, সিদ্দিক আলী, সোলায়ানমান দেওয়ান, নেসার উদ্দিন, ইমাম হোসেন, মিজান সরদার, শাহদাত হোসেন, খিজির আহমেদ, তসলিম উদ্দিন, হানিফ দেওয়ান ও হারুন।
এর আগে বিএনপি কর্মী সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে একই ঘটনায় পৃথক দুইটি হত্যা মামলায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে বিএনপির দুইজন মারা যায়। এসব ঘটনায় পৃথক দুইটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই দুই মামলায় ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এদিকে জসিম উদ্দিন হত্যা মামলায় র্যাবের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে ১৪ জন ও সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় আগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেরও অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল সোমবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। এ সময় সাইজ উদ্দিন নামে এক বিএনপি কর্মী মারা যায়। এর ৭দিন পর আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জসিম উদ্দিন ব্যাপারী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঘটনার তিনদিন পর নিহত সাইজ উদ্দিনের ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ফারুক কবিররাজকে প্রধান করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও ১৮৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ঘটনার ৮ দিন পর জসিম উদ্দিন ব্যাপারী নিহতের ঘটনায় তার বাবা হজল করিম ব্যাপারী বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রায়পুর থানায় পৃথক আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষক দলসহ অঙ্গ-সংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করে রায়পুর উপজেলা বিএনপি।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.