মোহাম্মদ আরশাদ। তিনি ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো পিএলসির আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২০টিরও বেশি কারখানার দায়িত্বে। বিপণনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামাক এ কোম্পানি প্রায় ১৮০টি দেশে কার্যক্রম ও ৫০টিরও বেশি দেশের বাজারে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে। আরশাদ এই বিএটির উৎপাদন বিভাগে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চট্টগ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম এবং সেখানেই বেড়ে উঠা। ভাই-বোনদের মধ্যে ছোটবেলা থেকে কোনো কিছু জানার প্রতি সবচেয়ে বেশি কৌতূহলী ছিল বলে বাবা মার আদরের সন্তান ছিলেন আরশাদ। বিশেষ করে মেশিন কীভাবে চলে , কারখানা এবং ব্যবসা কীভাবে কাজ করে তা জানার ব্যাপারে তিনি সবসময় উৎসাহী ছিলেন। এই কৌতূহলই তাকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে উদ্বুদ্ধ করে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর আরশাদ ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশের (BAT বাংলাদেশ) উৎপাদন বিভাগে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। একজন ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে শুরু করে তিনি দ্রুতই কারখানার কার্যক্রম, মাননিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কে হাতে কলমে জ্ঞান অর্জন করেন। এটি ছিল তার প্রথম আন্তর্জাতিক বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা। যেখানে কাজ করতে গিয়ে আরশাদ দ্রুতই বুঝতে পারেন কারখানা শুধু মেশিন নয় বরং মানুষ, দলবদ্ধতা এবং নেতৃত্বের উপর নির্ভরশীল। সে সময় তিনি শিখেছিলেন কীভাবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বিঘ্নে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয়, কর্মীর দক্ষতা উন্নত করতে হয় এবং কর্মক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হয়। এ সময় জ্যেষ্ঠ সহকর্মীদের পরামর্শ ও মেন্টরশিপ তাঁর জন্য অত্যন্ত কাজে লেগেছিল।
বাংলাদেশে বেশ কয়েক বছর সাফল্যের সাথে কাজ করার পর আরশাদের নেতৃত্বমূলক মনোভাব আর দক্ষতা তাকে আন্তর্জাতিক পরিসরে কাজের সুযোগ করে দেয়। ব্রিটিশ ট্যোবাকো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাদের বিশ্বজুড়ে বহু উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে , যা কর্মীদের ভিন্ন দেশে কাজের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ দেয়। আরশাদও সেই সুযোগ গ্রহণ করেন এবং ধীরে ধীরে বৈশ্বিক উৎপাদন শিল্পে নিজের নেতৃত্বের যাত্রা শুরু করেন।
প্রথমে তিনি বদলি হয়ে যান এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুরে । যেখানে তাকে পুরো একটি উৎপাদন ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভিন্ন দেশের কর্মসংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে কাজ করে আরশাদ তার প্রথম বহির্বিশ্বের নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। সিঙ্গাপুরের অত্যাধুনিক উৎপাদন পরিবেশে কাজ করে তিনি শিখেছিলেন কীভাবে বহুজাতিক দলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হয় এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার প্রচেষ্টা একত্রিত করতে হয়। নতুন পরিবেশের প্রতি নিজেকে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন দেশের সহকর্মীদের সংস্কৃতি ও কাজের ধরন বোঝার মাধ্যমে তিনি একজন কার্যকর গ্লোবাল লিডার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করেন।
সিঙ্গাপুরে সাফল্যের পর কোম্পানি আরশাদকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সবচেয়ে বড় উৎপাদন কারখানার পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেই কারখানাটি আকারে ও পরিসরে বিশাল, যেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োজিত। এই দায়িত্ব ছিল আরশাদের জন্য একটি বিরাট মাইলফলক । এখানে তাঁকে উচ্চ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মান নিশ্চিতকরণ এবং একটি বৃহত্তর দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কাজ একসঙ্গে সামলাতে হয়েছে। বিপুল উৎপাদনক্ষমতার এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তিনি বড় স্কেলের কার্যক্রম পরিচালনার কৌশল আয়ত্ত করেন। তাঁর দিনে দিনে সিদ্ধান্তগ্রহণের দক্ষতা, অপারেশনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োগের ক্ষমতা আরও বিকশিত হয়। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ যেমন সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য উৎপাদন সময়সূচি ঠিক রাখা এসব বিষয় তিনি সফলভাবে পরিচালনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অভিজ্ঞতা তাকে বিশ্বমানের উৎপাদন ব্যবস্থাপনার জটিলতা মোকাবেলা করতে শিখিয়েছে এবং তাঁর নেতৃত্বের ক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এত বৃহৎ পরিসরে কাজ করেও কোথায় যেন আটকে ছিলেন আরশাদ । তার মনে হয়েছে এখানেই শেষ নয় আরোও অনেক দূর যেতে হবে ক্যারিয়ারে । আর তাই তো যুক্তরাষ্ট্রে সাফল্যের পর আরশাদকে ইন্দোনেশিয়াতে একটি সম্পূর্ণ নতুন কারখানা নির্মাণ ও পরিচালনার প্রকল্পে নেতৃত্ব দিতে পাঠানো হয়।
বলে রাখা ভাল , ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম তামাক বাজারগুলোর একটি, তাই সেখানে একটি নতুন অত্যাধুনিক কারখানা স্থাপন করা কোম্পানির জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শূন্য থেকে একটি কারখানা গড়ে তোলার এই চ্যালেঞ্জ তিনি গ্রহণ করেন। এখানে তাঁর প্রধান দায়িত্ব ছিল প্রকল্প পরিকল্পনা থেকে শুরু করে কারখানা নির্মাণ, যন্ত্রপাতি স্থাপন, স্থানীয় জনশক্তি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উৎপাদন শুরু করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ তত্ত্বাবধান করা। নতুন সংস্কৃতি ও নিয়ম-কানুনের মাঝে কাজ করে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে স্থানীয় পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বৈশ্বিক সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো প্রয়োগ করা যায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করে উৎপাদন শুরু করা এবং বাজেটের মধ্যে থেকে সবকিছু সম্পন্ন করা ছিল তাঁর বড় সাফল্য। এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আরশাদ প্রমাণ করেন যে সঠিক নেতৃত্ব, পরিকল্পনা ও টিমওয়ার্কের মাধ্যমে যে কোনো নতুন উদ্যোগকে সফল করা সম্ভব।
আরশাদের মতে, তাঁর সফলতার পেছনে প্রযুক্তিগত দক্ষতার পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে কাজ করার বিশেষ ক্ষমতাও সমানভাবে ভূমিকা রেখেছে। বললেন, সবসময় তাঁর দলের সদস্যদের অনুভূতি ও প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি এবং তাদের মতামত মনোযোগসহকারে শুনেছেন। জানালেন, সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের ফলে দলের মধ্যে আস্থা ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়, যা কর্মসম্পাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করার সময় এই গুণটি তাকে সবাইকে কাছে টানতে এবং একটি ঐক্যবদ্ধ দল গড়তে সাহায্য করে।
আরশাদ বিশ্বাস করেন, সফল প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল চাবিকাঠি হলো শক্তিশালী টিমওয়ার্ক। তিনি নিজের দলকে একটি পরিবার হিসেবে দেখেন যেখানে সবাই মিলে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে। সিঙ্গাপুর থেকে ইন্দোনেশিয়া সর্বত্রই তিনি দলগত আলোচনার মাধ্যমে সেরা ধারণা খুঁজে বের করেছেন এবং প্রতিটি সদস্যকে গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করিয়েছেন। ফলস্বরূপ, তাঁর দলের সদস্যরা উদ্দীপনার সঙ্গে কাজ করেন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরস্পরকে সহযোগিতা করেন।
প্রতি পদক্ষেপে নতুন কিছু শেখা ও প্রয়োগ করার মানসিকতা আরশাদের মধ্যে প্রবল। তিনি শুধু প্রচলিত নিয়ম মেনে কাজ করে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং প্রতিটি কার্যপ্রক্রিয়া কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সেই উপায় খুঁজেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ কারখানায় থাকাকালীন তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি ও রোবোটিক্সের ব্যবহার বাড়িয়েছিলেন এবং ইন্দোনেশিয়ায় নতুন কারখানা তৈরির সময় আধুনিক প্রযুক্তি সমন্বিত একটি স্মার্ট ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর এই উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই বিভিন্ন জায়গায় তিনি সাফল্যের সাথে পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন আনতে পেরেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটের সমন্বয়ে উৎপাদন প্রক্রিয়া দ্রুততর ও দক্ষতর হচ্ছে।
আরশাদের অভিজ্ঞতা তাকে দেখিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন শিল্প এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন এবং রোবোটিক্স। আধুনিক কারখানাগুলোতে স্বয়ংক্রিয় রোবোটিক ব্যবস্থা ও AI ব্যবহারে উৎপাদন প্রক্রিয়া ক্রমেই দ্রুততর ও দক্ষতর হয়ে উঠছে । তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়া উভয় ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ করেছেন কীভাবে রোবট ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র মানুষকে সহায়তা করছে । অনেক ক্ষেত্রে শ্রমসাধ্য ও পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলো রোবট নিজে থেকে সম্পন্ন করতে পারায় কর্মীরা বেশি সৃজনশীল ও জটিল কাজের ওপর মনোনিবেশ করতে পারছেন।
বর্তমানে আধুনিক কারখানাগুলোতে কর্মী ও রোবট একসাথে কাজ করছে, যার ফলে উৎপাদনশীলতা ও নিরাপত্তা দুটোই বাড়ছে।
আরশাদ বিশ্বাস করেন, এই অগ্রগতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি শিল্পকারখানায় নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করতে গিয়ে আমাদের দেশকেও AI ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তিনি মনে করেন ভবিষ্যতের কারখানায় দক্ষ মানবসম্পদ এবং বুদ্ধিমান যন্ত্র একসঙ্গে কাজ করবে, যেখানে সিদ্ধান্তগ্রহণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে উদ্ভাবনের ছোঁয়া থাকবে।
গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করার মাধ্যমে আরশাদ এরই মধ্যে উপলব্ধি করেছেন AI ও অটোমেশন সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিপ্লব আনা যায়। নতুন প্রযুক্তি হঠাৎ পুরো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন না করে তিনি ছোট পরিসরে পাইলট প্রকল্প চালুর পরামর্শও দিলেন তিনি।
আরশাদ জানালেন, প্রযুক্তি প্রয়োগের কেন্দ্রে থাকা উচিত মানুষ। অর্থাৎ AI ও রোবটের বাস্তবায়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে তারা মানুষের কাজ সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপন না করে বরং সহযোগী হিসেবে কাজ করে। স্বয়ংক্রিয় রোবটকে এমন কাজেই নিয়োজিত করা উচিত যা কর্মীদের জন্য কঠিন বা ঝুঁকিপূর্ণ না হয় , যাতে কর্মীরা সৃজনশীল ও কৌশলগত কাজে মনোযোগ দিতে পারেন ।
বর্তমানে আরশাদ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা মিলিয়ে কয়েকটি দেশে ২০টিরও বেশি কারখানার দায়িত্বে রয়েছেন। তরুণ বয়সে চট্টগ্রামের যে ছেলে স্বপ্ন দেখেছিল বিশ্বমানের কিছু করার, আজ তিনি সত্যিই বিশ্বব্যাপী উৎপাদন কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এখন তাঁর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশের কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান, নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তির কৌশল তৈরি এবং পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের পরামর্শ ও মেন্টরশিপ প্রদান। ভবিষ্যতের প্রতি নজর রেখে আরশাদ একটি স্মার্ট ও টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছেন, যেখানে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের কারখানাগুলো উদ্ভাবনের আলোকে আলোকিত হবে। আরশাদের যাত্রা তরুণ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার গল্প।
চট্টগ্রামের সাধারণ পরিবেশ থেকে উঠে এসে BUET-এর মতো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ, তারপর নিজ দেশের প্রতিষ্ঠানে কাজ শিখে ধাপে ধাপে বৈশ্বিক পরিসরে নেতৃত্ব দেওয়া – এই গল্প প্রমাণ করে যে দূরদৃষ্টি, কঠোর পরিশ্রম ও শেখার মানসিকতা থাকলে বিশ্বের মঞ্চে সফল হওয়া সম্ভব। তাঁর নেতৃত্ব আমাদের শেখায় যে প্রযুক্তি ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে সত্যিকারের সাফল্য অর্জন করা যায়। আরশাদ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আরও অনেক তরুণকে বৈশ্বিক নেতৃত্বের পথে এগিয়ে যেতে দেখতে চান এবং নিজেকে একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দেশের সুনাম বিশ্ব-দরবারে আরো উজ্জ্বল করতে বদ্ধপরিকর।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.