কয়েকদিন আগে ভারতকে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। একই ভেন্যুতে খেলার কারণে ভারতের সুবিধা বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর এ নিয়ে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ আকিভ জাভেদও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের সূত্র ধরে ধারাভাষ্য কক্ষে এমন মন্তব্য করতে দেখা গেছে নাসের হুসেইন, মাইকেল আথারটনসহ অন্যান্য অভারতীয় ধারাভাষ্যকারদেরও। প্রায় একই সুরে মন্তব্য করেন সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার র্যাসি ভ্যান ডার ডাসেনও।
অন্য সব দলকেই যেখানে ভেন্যু থেকে ভেন্যু, এমনকি শহর থেকে শহরে ছুটোছুটি করতে হচ্ছে, ভারত সেখানে একই শহরে একই হোটেলে থেকে একই মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এসবের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ, পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে আইপিএল বর্জন করতে বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হকও। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রোহিত শর্মা জানিয়েছিলেন, দুবাই ভারতের ঘরের মাঠ না। সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধার প্রশ্নই আসে না! অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে হারিয়ে গম্ভীর রীতিমতো একহাত নিয়েছিলেন সমালোচকদের। যদিও সরল স্বীকারোক্তিতে শামি জানান, একই মাঠে একটানা খেলতে পারাটা বাড়তি পাওয়া।
এই বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতের ক্রিকেটের ‘মহারাজ’ সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি বলতে পারি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ারের মতো ব্যাটসম্যানদের বরং খারাপ লাগছে লাহোর ও করাচির মতো উইকেটে খেলতে না পেরে, অন্য দলগুলো যেখানে ৩৫০ রান তুলছে। ইংল্যান্ড সাড়ে তিনশ করেছে, অস্ট্রেলিয়া তাড়া করে জিতেছে। নিউজিল্যান্ড ৩৬০ করেছে। দুবাইয়ে সেখানে ২৪০-২৫০ রান হচ্ছে। কোহলি, রোহিত, শ্রেয়াস, শুভমান গিলরা ভাবছে, দুবাইয়ে অমন উইকেট কেন পেলাম না আমরা! পেলে তো তিন-চারটি সেঞ্চুরি হয়ে যেত। পাকিস্তানের যেতে না পেরে বরং ভারতই সুযোগ হারাচ্ছে নিষ্প্রাণ উইকেটে খেলার।’
পাকিস্তানের এই আসর আয়োজনের পেছনে নিজের ভূমিকারও কথাও তুলে ধরেন সৌরভ। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমি যখন বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলাম ২০২০ সালে, তখন আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক করেছিলাম পাকিস্তানকে। ২০৩১ পর্যন্ত সব বৈশ্বিক আসরের ভেন্যু ঠিক করার গ্রুপের অংশ ছিলাম আমি। ভারতে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে। এটা তো ভারত নিজে করেনি। তাদের পাকিস্তানে যাওয়ার উপায় নেই।’
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতেছে ভারত। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল দলটি। এবার অজিদের হারিয়ে ফাইনালও দুবাইতেই খেলবে ভারত প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.