বাংলাদেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ওজনের প্রিম্যাচিউর শিশুর জীবন বাঁচানোর নজির স্থাপন করেছে।
এই উপলক্ষে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, শিশুটি মাত্র ২৫ সপ্তাহ ৪ দিনের গর্ভকালীন অবস্থায় ৫৫০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং ৩ মাস ২৬ দিন হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে থাকার পর সফলভাবে হাসপাতাল ত্যাগ করেছে।
এভারকেয়ার হসপিটালের একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাসরিন জুলফিকারের তত্বাবধানে সিজারিয়ান সেকশনে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির মায়ের প্রি-ইক্লাম্পসিয়া রোগের কারণে ভ্রুণের রক্ত প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করছিলো, সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে শিশুটিকে জন্ম দেওয়া হয়। গর্ভাবস্থা চলতে থাকলে মা ও শিশুর উচ্চ মৃত্যু ঝুঁকি ছিল। জন্মের পর, শিশুটিকে নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করা হয় এবং ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ইকবাল, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, পেডিয়াট্রিকস এবং নিওনাটোলজির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শিশুটির প্রিম্যাচিউর অবস্থার কারণে তার ইনকিউবেটর কেয়ার, ভেন্টিলেটর লাইফ সাপোর্ট, সঠিক পুষ্টি, ইলেকট্রোলাইট ব্যবস্থাপনা, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং ২৪ ঘণ্টা নার্সিং কেয়ারের মতো নিবিড় নবজাতক সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল, যা যথাযথভাবে নিশ্চিতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা সব ব্যবস্থা করেছে।
ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, এই চ্যালেঞ্জিং যাত্রায় শিশুটির বাবা-মায়ের অসামান্য ধৈর্য, সহযোগিতা ও আমাদের প্রতি আস্থা রাখার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এমন গুরুতর কেস-এর সাফল্য এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র সম্পূর্ণ টিম এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র নিউনেটোলজি টিম প্রিম্যাচিউর শিশুদের জন্য বিশ্বমানের সেবা প্রদানে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এভারকেয়ার হসপিটালের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, আমি সম্পূর্ণ নবজাতক পরিচর্যা দলকে বিশেষ করে ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ইকবাল এবং ডা. নুসরাত ফারুককে তাদের অসাধারণ কঠোর পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা জানাই। এটি আমাদের হাসপাতালের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
এ সময় এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ইকবাল ও ডা. নুসরাত ফারুক এবং স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ারা বেগমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.