ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার উদ্যোগে বাংলাদেশে সেমিনার ও নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পর্যটন খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ট্যুরিজম মালয়েশিয়া রাজধানী ঢাকায় “মালয়েশিয়া সেমিনার ও নেটওয়ার্কিং সেশন” আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা অংশ নেন, যেখানে মালয়েশিয়াকে ভ্রমণ, শিক্ষা, চিকিৎসা পর্যটন এবং মিটিংস, ইনসেনটিভস, কনফারেন্সেস ও এক্সিবিশনস (MICE) গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মুআজ সামাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শুহাদা ওথমান।

মুআজ সামাত অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে মালয়েশিয়ার পর্যটন শিল্পের প্রসার ও বাংলাদেশের বাজারে এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি আগামী ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ঢাকা ট্রাভেল মার্ট ২০২৫-এ মালয়েশিয়ার অংশগ্রহণ ঘোষণা করেন। তিনি মালয়েশিয়ায় কেবলমাত্র ভ্রমণ ই নয়, পারিবারিক বিনোদন, উচ্চশিক্ষা এবং সুচিকিৎসার নানাবিধ সুযোগের কথাও তুলে ধরেন। এছাড়াও, তিনি মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বিমান সংযোগের কথা উল্লেখ করেন। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে ৪২টি ফ্লাইট পরিচালনা হচ্ছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস, বাটিক এয়ার, এয়ারএশিয়া, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে।

তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ১,৪৩,৯১৯ জন বাংলাদেশি পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮% বৃদ্ধি। ২০২৫ সালে এই সংখ্যা ৩,০০,০০০-এ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, তিনি “ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬” এর কথা উল্লেখ করেন, যা টেকসই পর্যটন নিশ্চিত করতে গঠিত হয়েছে এবং যার লক্ষ্য ৩৫.৬ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণ করা ও ১৪৭.১ বিলিয়ন রিঙ্গিত পর্যটন থেকে আয় অর্জন করা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শুহাদা ওথমান মালয়েশিয়ার পর্যটনের সুযোগ, চিকিৎসা ও শিক্ষা পর্যটনের অগ্রগতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি, পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.