‘রোজায় নয়, লোডশেডিং হতে পারে গ্রীষ্মে’

রমজান মাসকে লোডশেডিং মুক্ত রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। চাহিদা ও জোগানের মধ্যে এমন ভারসাম্য রাখা হবে, যাতে কোনো ত্রুটি না হয়। তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে ৭০০ থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে রমজান মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ১৮ ডিগ্রিতে না রেখে এসি ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালানো হলে গরমের সময় ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব। যারা নতুন সংযোগ কিংবা শিল্প কারখানায় অতিরিক্ত গ্যাসের লোড চাইবেন তাদের ক্ষেত্রে বিইআরসির প্রস্তাবিত নতুন গ্যাসের দাম কার্যকর হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা অনেক চাপ থাকার পরও এই মুহূর্তে সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান।

তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছি না। অনেক চাপ থাকার পরও আমরা দাম বাড়াইনি। গ্যাসের দাম নতুন শিল্পে বাড়বে, বিদ্যমান শিল্পে আগের দর থাকবে। আমদানি করতে খরচ পড়ছে ৭৫ টাকা, সেই টাকা দিয়ে এনে ৩০ টাকায় দেওয়া সম্ভব না।

 

অর্থসূচক/হালিমা আক্তার ইকরা

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.