আত্মসমর্পণ ও আটককৃত যুদ্ধবন্দি অনেক ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা করেছে রাশিয়া। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ২৪টি আলাদা ঘটনায় আত্মসমর্পণ বা আটক হওয়ার পর ৭৯ ইউক্রেনীয় সেনা হত্যার শিকার হয়েছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ মিশন এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটেন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
এতে বলা হয়েছে, “অনেক ইউক্রেনীয় সেনা যারা আত্মসমর্পণ করেছিলেন অথবা রুশ সেনাদের জিম্মায় ছিলেন তাদের ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”
সংস্থাটি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সূত্রের করা মরদেহের ভিডিও পর্যবেক্ষণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এসব ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে।
এছাড়া ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে আহত এক রাশিয়ান সেনার হত্যার ঘটনাও লিপিবদ্ধ করেছে সংস্থাটি।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকেই যুদ্ধবন্দিদের হত্যাসহ একেঅপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া-ইউক্রেন।
ইউক্রেনে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান ড্যানিয়েলে বেল বলেছেন, এসব হত্যাকাণ্ড এমনি এমনি হচ্ছে না। তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়ার অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের হত্যা ও সেনাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করতে প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন।
গত মাসে দোনেৎস্কে ছয় ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে একসঙ্গে হত্যা করে রুশ সেনারা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হলে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল অফিস রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দিদের কোনো নির্যাতন বা গুলি করা যাবে না। এমনটি করলে তা গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.