গাজা ‘পরিষ্কার’ করতে ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের আহ্বান ট্রাম্পের

ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজাকে ‘পরিষ্কার’ করার জন্য ফিলিস্তিনিদেরকে মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং রোববার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সাথে কথা বলবেন।

জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহর সঙ্গে ফোনালাপ সম্পর্কে ট্রাম্প জানান, আমি তাকে বলেছি, আপনি আরও (ফিলিস্তিনির) দায়িত্ব নিন। কারণ আমি এখন পুরো গাজা উপত্যকাকে লক্ষ্য করছি এবং সেটা এখন একটা ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি দাবি করেন, মিশর, জর্ডান এবং অন্যান্য আরব দেশগুলো পর্যাপ্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থী গ্রহণ করলে পশ্চিম এশিয়ায় ‘শান্তি’ আসতে পারে।

এটা কী স্বল্প না দীর্ঘ মেয়াদের জন্য, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “যে কোনোটাই হতে পারে।”

ফিলিস্তিনি জনগণ, বিশেষ করে গাজাবাসীকে অন্য দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব ট্রাম্প এবং তার দল এর আগেও দিয়েছিল। শপথ গ্রহণের আগে ট্রাম্পের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বলেছিলেন, ট্রাম্প পুনর্গঠনের সময়কালের জন্য গাজার বাসিন্দাদের ইন্দোনেশিয়ায় স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছেন।

তবে, ইন্দোনেশিয়া এই ধারণার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইন্দোনেশিয়া তার অবস্থানে অটল যে গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তরের যেকোনও প্রচেষ্টা অগ্রহণযোগ্য। ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ অংশ বিশেষ করে আরব দেশগুলোও এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।

গাজার জনগণের তথাকথিত ‘স্বেচ্ছায় অভিবাসনের’ ধারণাটি প্রথম প্রচার করেছিল বাইডেন প্রশাসনের সময় অতি-ডানপন্থী ইসরাইলি মন্ত্রীরা। সোয়া এক বছরের যুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনী ভূখণ্ডটির ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। দখলদাররা এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যে, এখন সেখানে ভয়াবহ মানবিক সংকট বিরাজ করছে।

কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সেই বিরতির এক সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে আহ্বান জানালেন। পার্সটুডে

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.