শেখ হাসিনা দেশত্যাগের তিন মাস পর বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে কয়েকজন ব্রিটিশ এমপির দাখিলকৃত একটি প্রতিবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে
দেশটির কমনওয়েলথ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে গত নভেম্বরে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল। তবে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা অনেক তথ্যই ভ্রান্তিমূলক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ব্রিটেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, হাউজ অব কমন্সে লেবার পার্টির এক এমপি অভিযোগ জানালে প্রতিবেদনটির বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। আপাতত বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদনটি অভ্যন্তরীণ নথি হিসেবে পর্যালোচনাধীন রয়েছে। বিস্তারিত আলোচনার জন্য এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বিস্তৃত পরিসরে বিতরণের পরিকল্পনা নেই এবং এপিপিজি এ বিষয়ে আর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত একটি চিঠিতে এপিপিজির সভাপতি অ্যান্ড্রু রোজিনডেল লিখেছেন, কেবল শাসনযন্ত্রের ঘনিষ্ঠরা নয়, বরং সবার অংশগ্রহণের সুযোগ আছে এমন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য কাম্য। তবে বর্তমান সরকার তার গতিপথ শিগগিরই পরিবর্তন না করলে, তাদের আন্তর্জাতিক সমর্থন ধীরে ধীরে উবে যাবে।
ওই প্রতিবেদনে ইউনূস সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘আইনকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ ও ‘কট্টরপন্থি ইসলামপন্থিদের’ ক্ষমতায়নের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সাবেক সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, সাবেক বিচারক, স্কলার, আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগের ব্যাপ্তি এত বেশি দেখা গেছে যে, সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে ওই প্রতিবেদনের সমালোচনা করে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করা লেবার পার্টির এমপি রূপা হক বলেছিলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে এটি একটি উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার। তার দাবি, ড. ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবেদনটি তাকে দেখিয়ে প্রশ্ন করেন, পার্লামেন্টের নামে এসব ভুলে ভরা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আপনার সরকার আসলে চাচ্ছেটা কি?



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.