নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে সিরিয়া গিয়েছিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো। তবে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মেলালেও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে গেছেন সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর প্রধান আহমেদ হুসেইন আল-শারা। এই ঘটনাকে অবশ্য প্রত্যাশিত বলেই মন্তব্য করেছেন বেয়ারবক।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানান হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার আনালেনা বেয়ারবক ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো সিরিয়া সফর করেন। তারা সিরিয়ার ডি-ফ্যাক্টো শাসক এবং হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর প্রধান আহমেদ হুসেইন আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি আবু মুহাম্মদ আল-জুলানি নামেও পরিচিত।
সাক্ষাতের শুরুতেই এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আল-শারা ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মেলালেও বেয়ারবকের দিকে হাত বাড়াননি। বরং তিনি তার ডান হাত বুকে রেখে সম্মান প্রদর্শন করেন। কঠোর ইসলামী বিশ্বাসের কারণে আল-শারা নারীদের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেন।
জার্মান গণমাধ্যমে বেয়ারবক বলেন, আমি জানতাম এখানে স্বাভাবিক করমর্দনের আশা করা ঠিক হবে না। তবে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এই বিষয়ে আমার সঙ্গে একমত ছিলেন এবং তার হাত বাড়াননি।
আল-শারার সঙ্গে বৈঠকে দুই মন্ত্রী সিরিয়ায় নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলেন। ফরাসি মন্ত্রী বারো এক্স-এ এক পোস্টে উল্লেখ করেন যে সিরিয়ার নতুন প্রশাসন রাজনৈতিক রূপান্তরে নারীদের ‘বিস্তৃত অংশগ্রহণ’ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বর মাসে এইচটিএস জিহাদি গোষ্ঠীর আকস্মিক আক্রমণে সিরিয়ার সেনাবাহিনী কয়েক দিনের মধ্যে পরাজিত হয়। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার পতন ঘটে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.