ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: জামায়াতের আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আলেম ওলামা ও ইসলামী দলগুলোর মাথার ওপর কেউ যেন কাঠাল ভাঙ্গতে না পারে এজন্য ঐক্যের বিকল্প নেই। সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। বিপ্লবের পরে ইসলামিক দলগুলো পাহারাদারের কাজ করেছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের দ্বাদশ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, সামনের বাংলাদেশ চলবে চব্বিশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া তরুণদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল থাকবে ঐক্যবদ্ধ। ছাত্রদের আমি স্যালুট জানাতে চাই। আগামীর বাংলাদেশ তাদের হাতে তুলে দিয়ে আমরা পেছন থেকে সহযোগিতা করতে চাই। আর যেন ইসলামিক দলগুলোর মাথার ওপরে কেউ কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সাড়ে ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ জাতীয় নেতাদের অপমান করেছে, লাঞ্ছিত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। সব থেকে আক্রোশ মিটিয়েছে ওলামা একরামদের ওপর। দেশের মানুষকে অপমানিত করা হয়েছে। হাজার হাজার ওলামায়ে একরামকে মিথ্যা মামলায় জেলে দিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। কুরআনের হাফেজদের নির্বিচার গুলিকে হত্যা করা হয়েছে। শাপলা চত্বরের ঘটনা দেশবাসী কখনো ভোলেনি এবং ভুলবে না। এটাকে নিয়ে কত উপহাস করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্বের চেয়ারে বসে সেখানে তিনি বলেছেন সেখানে রক্ত নয় রং ছড়ানো হয়েছিল।

শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মাথায় ৫৭ জন চৌকস সেনাবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর তারা জামায়াত ইসলামকে বেছে নিয়েছে। আমাদের ১১ জনকে তারা হত্যা করেছে। এভাবে আলেম-ওলামাকে এত বেশি লাঞ্ছিত করা হলো এর শেষ নাই। আওয়ামী লীগ এদেশের হাজার-কোটি মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, জুলুম করেছে। একজন ভিক্ষুকের ওপরও জুলুম করেছে।

জামায়াতে ইসলাম ছাড়াও খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশনে অংশ নেন বিএনপি, এবি পার্টি, ইসলামি আন্দোলনসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.