পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, রাতে বাড়ছে শীত

টানা তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। রাত বাড়তে থাকলে বাড়তে থাকে শীত। তৃতীয় দফায় উত্তরের শীতের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে সকাল ৮টার পর দেখা মিলছে সূর্যের। দিনে রাতে দুই রকম তাপমাত্রার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রবণতা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রার রেকর্ডে দুইদিন ধরে তৃতীয় দফায় মৃদু শৈতপ্রবাহ বইছে।

সকালে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ভোরেই দেখা মেলে ঝলমলে রোদ। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কনকনে শীতের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা যেন জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯%। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত অব্যাহত রয়েছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও পারে।

অন্যদিকে, তীব্র শীত ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.