২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করা সম্ভব। তবে এ জন্য যে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে দেশের ব্যাংকিং খাতকে নবায়নযোগ্য শক্তি অর্থায়নে আরও অনেকখানি তৎপর হতে হবে। দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি অর্থায়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এজন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের ১০ শতাংশেরও কম পাওয়া যাবে দেশীয় ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলো থেকে।
আজ (বুধবার) ঢাকায় “বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি অর্থায়নের ধারা শিরোনামের কর্মশালায় এমন মত দেন অংশগ্রহণকারিরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে এই কর্মশালায় দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অংশ নেন নবায়নযোগ্য শক্তি অর্থায়ন জোরদার করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের পথ নিয়ে তারা মতবিনিময় করেন।
কর্মশালায় প্রেক্ষাপটপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেন যে, বড় নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে অর্থায়নে দেশের ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলোর সক্ষমতার অভাব রয়েছে। তবে তুলনামূলক ছোট প্রকল্পে অর্থায়নের যে সম্ভাবনা রয়েছে সেটিও পুরোপুরি কাজে লাগানো হচ্ছেনা। এ প্রসঙ্গে তিনি সোলার ইরিগেশন পাম্প বা এসআইপি এর মাধ্যমে সেচ উৎসাহিত করার মাধ্যমে প্রতিবছর ৮১ লাখ লিটার ডিজেল পোড়ানো বন্ধ করা সম্ভব বলে জানান।
সমাপনী বক্তব্যে ড. আতিউর আরও বলেন যে পরিবেশগত ও সামাজিক ঝুঁকির পাশাপাশি গভর্নেন্স ঝুঁকির দিকেও মনোনিবেশ করা চাই। সবুজ অর্থায়নের সময় সুশাসনের দিকে যথেষ্ট মনোযোগ না দিলে সীমিত সম্পদের অপচয়ের পাশাপাশি সবুজ নবায়নযোগ্য শক্তি অর্থায়ন বিষয়ে অংশীজনদের আগ্রহও কমে আসতে পারে। উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চারটি ব্যাংক, এগারোটি সোলার এনার্জি কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনগণ।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.