সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও অভিশংসন ভোটের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

সামরিক আইন জারির জন্য দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন দেশটির সংসদ সদস্যরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, অভিশংসন পাস করতে হলে দুইতৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে। বিরোধী দলের পাশাপাশি শাসক দলের আটজন এমপিকেও ভোট দিতে হবে ইওলের বিপক্ষে।

এর আগে গত ডিসেম্বর অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। তবে ইউনের ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

জাতীয় পরিষদের স্পিকার ওনশিক ওইদিন জানান, মোট ১৯৫ ভোট পড়েছে। ভোট দেয়া সদস্যের সংখ্যা মোট সদস্যের প্রয়োজনীয় দুইতৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি ঘিরে দেশটির রাজনীতি এখন উত্তাল। যার ফলে ইউনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বড় সংকটের মুখে। গত ডিসেম্বর দেশে আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন ইউন। তবে বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে পিছু হটেন ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা।

রয়টার্স জানিয়েছে, বিরোধী দলগুলো আজ বিকেল ৪টায় অভিশংসন ভোটের পরিকল্পনা করছে। ভোটের আগে বড় বিক্ষোভের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্টের দলের অন্তত সাতজন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রতিবেদন বলছে, অভিশংসিত হলে ইওল কর্তৃত্ব হারাবেন, কিন্তু সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণ বা পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হান ডাকসু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। আদালত ইওলকে অপসারণ করলে বা তিনি পদত্যাগ করলে ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হতে হবে।

২০২২ সালে নির্বাচিত হন ইওল। সে সময় ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো তাকে স্বাগত জানায়। তবে দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সমালচোনার মুখে পড়তে থাকেন। বিরোধী দলগুলো তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.