বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশের কাছে আদানির ডলার পাওনা হয়েছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। এবার আদানির সেই অর্থ পরিশোধের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নরের সঙ্গে এ বৈঠক করেন প্রণয় ভার্মা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের মূল্য হিসাবে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে যে অর্থ পায়, তা পরিশোধো চলতি মাসের শুরু থেকে তাগাদা দিয়ে আসছিলো আদানি গ্রুপ। বাংলাদেশ সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে সেই অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গত ২০ নভেম্বর ভারত সফর করেন। সেখানে তিনি একটি সেমিনারে অংশ নেন। এরপর ২৩ নভেম্বর তিনি দেশে ফেরেন। পরের দিন রোববার (২৪ নভেম্বর) অফিস করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। তবে গভর্নরের ভারত সফর শেষ হওয়ার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও, সেই সফর সম্পর্কে স্পষ্ট করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
জানা গেছে, এ বৈঠকে বাংলাদেশের কাছে আদানির ডলার পাওনা পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে এবিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে পরিস্কার কিছু বলেননি তিনি।
চলতি মাসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছিলো, আদানি গ্রুপ বিদ্যুতের বকেয়া হিসেবে বাংলাদেশের কাছে পাওনা ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। একই সঙ্গে নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মোট এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.