গাজায় হামলার দায় আন্তর্জাতিক সমাজকে নিতে হবে: হামাস

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের রাজনৈতিক ও নৈতিক দায় আন্তর্জাতিক সমাজকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, দখলদার সেনাদের অপরাধযজ্ঞের ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করার কারণে আন্তর্জাতিক সমাজকে এর দায় নিতে হবে। তাদের নীরবতার কারণে আন্তর্জাতিক মূল্যবোধ ও আইনি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

শুক্রবার ইসরাইলি সেনারা গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার নিকটবর্তী সর্বশেষ সক্রিয় হাসপাতালে ভয়াবহ হামলা চালানোর পর এ বিবৃতি প্রকাশ করে হামাস। ইসরাইলি সেনারা হাসপাতালটির অক্সিজেন স্টেশনে বোমা হামলা চালায় যার ফলে বেশ কয়েকজন শিশু শাহাদাতবরণ করেন।

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের বিবৃতিতে বলা হয়, কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ইসরাইলি সেনাদের এ আগ্রাসন ছিল একটি মারাত্মক যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এ সময় ইসরাইলি সেনারা হাসপাতাল থেকে শতাধিক ফিলিস্তিনি পুরুষকে ধরে নিয়ে তাদেরকে উলঙ্গ করে একটি খোলা জায়গায় জড়ো করে রাখে। এরপর তাদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা বার্তা সংস্থাটি জানাতে পারেনি।

হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর গাজায় যা ঘটছে তার বিবরণ হচ্ছে গণহত্যা, বাড়িঘরে সুপরিকল্পিতভাবে অপরাধমূলক বোমা হামলা এবং এসব ঘরবাড়ির অধিবাসীদের মাথার উপর ভবনগুলো ধ্বংস করা। বিবৃতিতে আরব দেশগুলিসহ গোটা মুসলিম বিশ্বকে শুধুমাত্র নিন্দা না জানিয়ে এর পরিবর্তে ফিলিস্তিনিদের উপর যে গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানো হচ্ছে তা বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.