‘জলবায়ু অর্থায়ন স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ঠেলে দিচ্ছে’

জলবায়ু অর্থায়নের বর্তমান ব্যবস্থা বাংলাদেশ ও অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে (এলডিসি) ঋণের ফাঁদে ঠেলে দিচ্ছে।

শনিবার (২০ অক্টোবর) চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ (সিআই) এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণের ফাঁদে পড়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী ২০০৯ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ শূন্য ছিল, যা ২০২২ সালে বেড়ে ৭৯.৬১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু ন্যায়বিচারের গুরুত্বের উপর জোর দেন। একইসঙ্গে দুর্বল দেশগুলোর চ্যালেঞ্জগ মোকাবেলায় বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন অবশ্যই ন্যায়বিচার ও সমতা সম্পর্কে হতে হবে। শুধু তহবিল সরবরাহ করাই যথেষ্ট নয়; আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সংস্থানগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণরা জলবায়ু ন্যায়বিচার দাবি করছে এবং তারা তা করার অধিকারী। আমাদের অবশ্যই তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে যাতে তারা কর্পোরেট ফাঁদে না পড়ে। জলবায়ু-সহনশীল ভবিষ্যত গড়তে তারা প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানে অগ্রগামী হবে।

চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম. জাকির হোসেন খান মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা ভৌগলিক সীমারেখা দিয়ে আবদ্ধ হতে পারে না। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, গাইবান্ধার কৃষকদের উপর এই পরিবর্তনের প্রভাব ভারতের আসাম-ত্রিপুরা-রাজস্থানের কৃষকদের ক্ষেত্রে একই রকম। তাই এই পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য টেকসই পদক্ষেপ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমাদের জলবায়ু অর্থায়নে একটি মৌলিক পরিবর্তন দরকার। এলডিসিগুলির জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৪৮০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ুর অনুদানের পরিবর্তে ঋণের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ঋণ অর্থায়নের উপর এই নির্ভরতা তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতা বাড়িয়ে তুলছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.